শিরোনাম: |
শেখ হাসিনার আশাবাদ
‘বঙ্গবন্ধুর মশাল’ আলো জ্বলবে অনাগত দিনেও
|
মোতাহার হোসেন : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুজনই একই শিরোনামে পৃথক পৃথক কবিতা লিখেছেন। কবিদ্বয়ের কবিতা ভবিষ্যত্ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে লেখা কবিতাটির শিরোনাম ‘১৪০০ সাল’। রবি ঠাকুর অনাগত দিনের কবিদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেছিলেন, ‘আজি হতে শতবর্ষ-পরে/কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/কৌতূহল ভরে- আজি হতে শতবর্ষ-পরে...।’ রবীন্দ্রনাথ যে নিবেদন করেছেন নজরুল তার জবাব দিয়েছেন। নজরুল ইসলাম ১৪০০ সাল কবিতায় লিখেন... আজি হতে শতবর্ষ আগে/যে-অভিবাদন তুমি করেছিলে নবীনেরে/রাঙা অনুরাগে, সে অভিবাদনখানি আজি ফিরে চলে/... প্রণামী-কমল হয়ে তব পদতলে। আজি এই অপূর্ণের কম্প্র কণ্ঠস্বরে/তোমারি বসন্তগান গাহি তব বসন্ত-বাসরে-/তোমা হতে শতবর্ষ পরে।’ এ যেন সময়কে অতিক্রম করে কবিতার ভাষায় কথা বলা। রবি ঠাকুর এবং নজরুলের ১৪০০ সাল কবিতা দুটোই আমার লেখার প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের যে মশাল জ্বালিয়ে গেছেন সেই মশাল অনাগত দিনে জ্বালাবে তার আদর্শের উত্তরসূরিরা এমন আশাজনক মন্তব্য করেছেন। আমি সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদের সঙ্গে শত ভাগ একমত। ঠিক যেমনটি রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আর তার উত্তরে লেখা নজরুলের কবিতাই এর বড় প্রমাণ।
আজ হতে ৬৮ বছর আগে সৃষ্টি হওয়া আওয়ামী লীগ, আজ হতে শতবর্ষ পরেও এদেশে জনমানুষের অধিকার আদায়ে, অর্থনৈতিক মুক্তির পথে কাণ্ডারি হিসেবে সমান প্রাসঙ্গিক থাকবে কিনা এ প্রশ্ন- এ মনে জাগতেই পারে। তবে এই প্রশ্নের জবাব দেবে অনাগতকালের ইতিহাসই। শুধু আমার নয় এ প্রশ্ন হয়তো এই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনেও জাগতে পারে। ৬৮ বছরে দলের সংগ্রাম, ইতিহাসে রক্তাত্ব পথপরিক্রমায় দিন দিন এই দলের প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তা সম্ভবত: আজ হতে শত বছর পরেও নয়, অনাগত দিনেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, অপরিহার্য থাকবে। একজন আমজনতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি, আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এই দলের কোটি কোটি সমর্থক, ভক্ত, অনুরাগী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিঃসন্দেহে আশ্বস্ত করতে পারি, আজ হতে শত বছর পরে, হাজার বছর পরেও এই দলের অবস্থান দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় হবে, অপরিহার্যতা থাকবে। কারণ সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বৃহত্তম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এই দলের জন্ম হয়েছে একটি স্বপ্ন, ভিশন, আদর্শকে সামনে রেখে। সেই স্বপ্ন হচ্ছে- দেশের স্বাধীনতা, মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি সবরকম অন্যায়, শোষণ, জুলুম, বঞ্চনা, নির্যাতন, নীপিড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করে অধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে থাকা। আওয়ামী লীগের জন্মের ৬৮ বছরের ইতিহাস, কর্মকাণ্ড, ত্যাগ, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বারে বারে সেই সত্যের ও আদের্শ বাস্তবায়নে মানুষের পাশে থেকেছে। এসব করতে গিয়ে দেশের আপামর মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই দলের জন্ম থেকে এ পর্যন্ত জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের সংগ্রামে-আন্দোলনে নিরন্তর ও নিরলসভাবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে- কখনো রাজপথে, কখনো সংসদে বিরোধীদল হিসেবে, আবার বেশিরভাগ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার বাইরে, সরকারের বাইরে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে এসেছেন। তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের অর্জন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের অর্জন, এ দলের সফলতা মানে দেশ ও দেশের মানুষের সফলতা। ‘মা, মাটি, মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জীবন্ত মহিরুহই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই দল কখনো জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। জনগণের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিবেদিত এই দল। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, কল্যাণে আন্দোলন সংগ্রাম করতে যেয়ে বহু নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে, শাহদাত্বরণ করতে হয়েছে। এর বড় প্রমাণ, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, উনসত্তুরের গণআন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন। তারপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাত্বরণ, একই বছর ৩ নভেম্বর জেল অভ্যন্তরে জাতীয় ৪ নেতা হত্যা,২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলায় তিনি অলৌকিকভাবে প্রাণে রক্ষা পেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভী রহমানসহ ২৬ নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং জনগণের অধিকার আদায়ে যত আত্মাহুতি, আত্মত্যাগ আওয়ামী লীগকে দিতে হয়েছে বিশ্বে দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক দলের ইতিহাসে এমন আত্মাহুতি, আত্মত্যাগের নজির ইতিহাসে বিরল। এখন সময়ের প্রয়োজনে এ কথা বেশি বলা হবে না। এটি সত্য, আওয়ামী লীগের পথচলা, সংগ্রাম, রাষ্ট্রগঠন, রাষ্ট্র ও জনগণের উন্নয়নে রক্তগঙ্গা অতিক্রম করেই আজ এ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। গত ১২ জুলাই সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত ভাষণে সেই সত্য উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।’ তার এই বক্তব্য আমাকে এই লেখার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ৪২ বছর আগে বঙ্গবন্ধু যে মশাল জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরিরা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছেন। তিনি বলেন, ‘রূপকল্প ২০২১ এর অধীনে ঘোষিত সময়ের আগেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ স্বনির্ভর দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য আওয়ামী লীগ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’ এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আত্ম-সম্মানবোধ নিয়ে আমাদের বায়ান্ন ও একাত্তরে অর্জিত গৌরবের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে আওয়ামী লীগের দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে।’ এই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর একটি কথা উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল তার সিংহভাগই বাস্তবায়ন করেছে।’ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকটি খাতে যেমন বিদ্যুত্, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান, আইসিটিসহ প্রতিটি খাতে যথাযথ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নকে গতিশীল করছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং ভবিষ্যতে রক্ষা করে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য অন্যতম। আর বর্তমান সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে শতভাগ সফল। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশকে চাল আমদানি করতে হয়নি বরং এখন রফতানি করছে। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন বিদ্যুতের অবস্থা রাতের অন্ধকারের মতোই ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আত্ম-সম্মানবোধ নিয়ে আমাদের বায়ান্ন ও একাত্তরে অর্জিত গৌরবের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে আওয়ামী লীগের দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে। তিনি বলেন, ‘জনগণকে সরকারের কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। আর এই এগিয়ে যাওয়া হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ‘কাঙ্ক্ষিত উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।’ আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ফলে মানুষের আয়, গড় আয়ু, রিজার্ভ, খাদ্য উত্পাদন বেড়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। শিক্ষা, প্রযুক্তি, গবেষণা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য অবকাঠামোর উন্নয়ন বাংলাদেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের সাহস করতে পেরেছে। ২০০৯ সালে বিদ্যুত্ প্ল্যান্টগুলোর বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা ছিল ৪৯৩১ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপে ২০১৬ সালে বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা ৮৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট। সরকার প্রায় নতুন ৩৫ লাখ সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে। ৬৫টি নতুন বিদ্যুেকন্দ্র চালু হয়েছে। বেশকিছু নতুন বিদ্যুত্ প্রকল্প অচিরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তখন বিদ্যুত্ সমস্যা থাকবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় নজিরবিহীন সাফল্য এনেছে। বছরের প্রথম দিনে সব প্রাইমারি, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসায় বিনামূল্যে বই বিতরণ সারা বিশ্বে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। সরকার দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেছে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৪ হাজার স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সব শিক্ষাস্তরে তথ্যপ্রযুক্তিকে আলাদা বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছাত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিল গঠন করে স্নাতক পর্যন্ত উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমানে দেশে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দেশের প্রত্যেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ, ঢাকা-ময়মনসিংহ, রংপুর বিভাগীয় শহরের সড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক, নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক এবং নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ উড়ালসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। ১২ হাজার ৭৭৯ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। হাসপাতালের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮৩টি থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০১টি। এমডিজি পুরস্কার লাভ করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আদালতে আবেদনের মাধ্যমে ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে প্রাপ্য বিরাট জলরাশির ওপর কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচিনা করেছে। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নতুন ৪৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই সরকারের আমলে প্রায় ৭৫ লাখের অধিক বেকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং সংসদের স্পিকার নারী। নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী ভিসি। বর্তমানে সচিব পদমর্যাদায় ৫ জন নারী দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড নারী সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংক রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। জলবায়ু পরির্বতনজনিত ঝুঁকি মোকবিলা ও পরিবেশ উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ‘সাউথ-সাউথ এওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী পদক্ষেপের কারণে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্যবিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের অর্জন, সরকারের অর্জন মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং এর ফসল আগামী নির্বাচনে ঘরে তোলাটা এখন এ দলের নেতাকর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই প্রত্যাশা থাকবে জনগণের উন্নয়নে নেয়া শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় রক্ষায় আগামী নির্বচনে জনগণের পছন্দের দল হবে ‘আওয়ামী লীগ, আর তাদের প্রিয় নির্বাচনী প্রতীক হবে ‘বঙ্গবন্ধুর নৌকা’। লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট |