শিরোনাম: |
প্রযুক্তির কুপ্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে ৫ পরামর্শ
|
১. ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব ধররের ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইউটিউবে আরেকটু ভিডিও দেখা বা আরেকটু ফেসবুকিং করতে অনেকেরই মন চায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রবণতার ফলে আপনার যে ঘুম কম হচ্ছে সেটিই নয়, বরং আপনি যেটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন, সেটুকু সময়ও ভালোভাবে ঘুমাতে পারছেন না। ডিভাইস অন থাকলে তা প্রতি মুহূর্তে আপনার মাথায় ঘুরবে, কিংবা মনিটরের অলো চোখে পড়বে। আদর্শ ঘুমের জন্য যা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানেও ‘লাক্স ফর অ্যান্ড্রয়েড’ কিংবা ‘নিউ নাইট শিফট মোড’ নামের বিভিন্ন অ্যাপ বের হয়েছে। তবে আপনি যদি সত্যিই ঘুমানোর সময় প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে এ ধরনের সব ডিভাইস বন্ধ রাখুন। বরং আপনার পছন্দের একটি বই (ইন্টারনেটে নয়) হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। ২. একবারে একটি কাজই করুন এখন ইন্টারনেটে নানা ধরনের কাজ করতে পারছে মানুষ। ইন্টারনেট খোলা রাখা মানে পুরো দুনিয়া আপনার সামনে উন্মুক্ত রাখা। ল্যাপটপে বা পিসিতে কাজ করার সময় আপনার সামনে একই সাথে অনেকগুলো কাজ থাকতে পারে। আপনিও হয়তো চাপ কমাতে মেইল লেখার পাশাপাশি ফেসবুকে একটু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। কিংবা অন্য জায়গায় কাউকে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আপনার মনে হতে পারে আপনি একসাথে অনেকগুলো কাজ করছেন, আপনি অনেক উত্পাদনক্ষম। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। ধরুন, আপনি একটি উত্তেজনাকর ফুটবল ম্যাচ দেখছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর ফেসবুকে সেটির আপডেট দিচ্ছেন বা ফেসবুকিং করছেন, তাহলে কী ম্যাচের সঠিক মজাটা আপনি পাবেন? আপনি একবারে একটি কাজ করলে যতটা সফলতার সঙ্গে করতে পারবেন, অনেকগুলো কাজ এক সঙ্গে করলে কোনোটিতেই আশানুরূপ ফলাফল নাও পেতে পারেন। সফলভাবে অনেকগুলো কাজ করতে চাইলে সবগুলো কাজের জন্য আলাদা অলাদাভাবে সময় ভাগ করে নিন। এতে আপনার মস্তিষ্কও প্রতিটি বিষয়ের উপর আলাদাভাবে কাজ করতে পারবে। ৩. স্ক্রিন সবসময় আই লেভেলে রাখুন মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে মোবাইল ব্যবহার করা কিংবা সামনের দিকে ঝুঁকে ল্যাপটপ ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। চোখব্যথা, মাথাব্যথা, কোমর ব্যথা- স্ক্রিন আসক্ত মানুষের জন্য এসব সমস্যা এখন নিয়মিতই হয়ে গেছে। সব সময় আই লেভেলে স্ক্রিন রেখে কাজ করাটা হয়তো সম্ভব হবে না, তবে আপনি এটি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এতে আপনার চোখ এবং স্পাইনের উপর চাপ অনেক কমবে। হাঁটতে হাঁটতে মেসেজিং বন্ধ করুন। অফিস বা বাসায় আপনার মনিটর যদি আই লেভেলে না থাকে, তাহলে আলাদা স্ট্যান্ড নিন। ল্যাপটপ ব্যাবহার করলে আলাদা কীবোর্ড ব্যাবহার করে ল্যাপটপ দূরে রেখে তারপর কাজ করুন। ৪. সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার থেকে কিছুটা সময় বিরত থাকুন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম বন্ধুদের কাছ থেকে নতুন কোনো আপডেটের তাড়নায় আপনাকে সবসময় টানবে। আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছেন, কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা বিশ্রাম নিচ্ছেন, কিন্তু বারবার ফেসবুকে ঢুকে ভার্চুয়াল বন্ধুদের আপডেট চেক করতে মন চাচ্ছে, এটা হরহামেশায়ই অধিকাংশের ক্ষেত্রে হয়। সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না, কিন্তু আপনার সময় ঠিকভাবে বিন্যস্ত করতে জনাতে হবে। যখন যে কাজটি করবেন, তখন শুধুমাত্র সে কাজটিউ করুন। বিশ্রামের সময় ফেসবুক নয়, ফেসবুকিংয়ের সময়েও অন্য কাজ নয়। ৫. অনলাইন অ্যাকাউন্ট সবসময় নিরাপদ রাখুন প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। আপনার ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টগুলো ম্যানেজের ক্ষেত্রে পুরনো এ কথা মেনে চলুন। অ্যাকাউন্টের সামান্য নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বা আপনাকে অনেক ভুগতে হতে পারে। তাই ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টগুলোতে সবসময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাখুন। আর সব ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে শেয়ার করাও উচিত নয়। ব্যক্তিগত তথ্য যত কম ইন্টারনেটে শেয়ার করবেন, জীবন তত নিরাপদ থাকবে। - সামনেজীবন ডেস্ক |