শিরোনাম: |
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড মুখোমুখি পরিসংখ্যান
|
ক্রীড় প্রতিবেদক : আজ ইংল্যান্ডে অ্যান্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসর। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের আসর। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত মুখোমুখি হবার আগে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ইংলিশদের জয় ১৫ বার। টাইগারদের জয় ৪ বার।
এর আগে তত্কালীন আইসিসি নকআউট বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০০০ সালে মাত্র একবার দেখা হয়েছিলো বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের। ৫ অক্টোবর কেনিয়ার নাইরোবির জিমখানা ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন তত্কালীন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিমের ৮৪ বলে অপরাজিত ৬৩ ও অধিনায়ক দুর্জয়ের ৬০ বলে ৪৬ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৩২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এই ম্যাচটিই ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের প্রথম সাক্ষাত্। হার দিয়ে লড়াই শুরু করার পর ১৩তম ম্যাচে এসে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। ব্রিস্টলে ২০১০ সালের ১০ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার ইমরুল কায়েসের ৭৬ ও উইকেটরক্ষক জহিরুল ইসলামের ৪০ রানের উপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এরপর বল হাতে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের বোলাররা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা-আবদুর রাজ্জাক-শফিউল ইসলাম-রুবেল হোসেন-সাকিব আল হাসান, প্রত্যকে ২টি করে উইকেট শিকার করলে ২৩১ রানেই আটকে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর একটি ম্যাচের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ১১ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ১৬৯ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু নবম উইকেটে পেস বোলার শফিউল ইসলামকে নিয়ে ৫৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ ৪২ বলে ২১ ও শফিউল ২৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে ওই জয়ের পর পরবর্তী চার বছরের মধ্যে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা হয়নি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের। আবার তাদের দেখা হয় ২০১৫ বিশ্বকাপে। এবারও বাজিমাত করে বাংলাদেশ। ৯ মার্চ অ্যাডিলেড ওভালে পুল ‘এ’র ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং-এ নেমে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ’র দৃষ্টিনন্দন ১০৩ ও মুশফিকুর রহিমের ৭৭ বলে ৮৯ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ২৬০ রানেই ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন বাংলাদেশের তিন বোলার রুবেল-মাশরাফি-তাসকিন। রুবেল ৪টি নিলেও, মাশরাফি-তাসকিন ২টি করে উইকেট নেন। বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ রানে হারলেও, পরের ম্যাচেই জ্বলে উঠে টাইগাররা। অধিনায়ক মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে ৩৪ রান হারায় বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে এটি ছিলো ইংল্যান্ডের চতুর্থ ও সর্বশেষ জয়। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ম্যাশ। সেই সাথে সিরিজে সমতাও আননে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে এটিই ছিলো বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ। |