শিরোনাম: |
উত্তর কোরিয়ার হুমকির জবাব
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী পরীক্ষা
|
বর্তমান ডেস্ক : প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। পরীক্ষাটি এমন এক সময় চালানো হলো, যখন উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর প্রচ্ছন্ন হুমকি জারি রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সংস্থা মিসাইল ডিফেন্স এজেন্সি (এমডিএ) জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ বিমানঘাঁটিতে ভূমি থেকে চালানো ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাটি একটি নকল ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের মার্শাল দ্বীপের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাটির সঙ্গে নকল ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির সংঘর্ষ হয় বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। পেন্টাগন জানিয়েছে, অনেক আগে থেকেই এ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ায় এখন তারা ওই পরীক্ষাটি চালালেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নতুন করে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ওই পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির নেতা কিম জং-উন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বড় চমক’ অপেক্ষা করছে। চলতি বছরে এটি তাদের নবম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। আর গত তিন সপ্তাহে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হলো। এমডিএর পরিচালক ভাইস এডমিরাল জিম সাইরিং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী পরীক্ষাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ স্মারক’ বলে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার জিম বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা আমাদের দেশের প্রতিরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর এ পরীক্ষা থেকে বোঝা যায়, আমাদের সামনে এক বাস্তব হুমকি উপস্থিত।’ উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, তাদের কাছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ধারণা করা হয়, তাদের কাছে এমন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে। গত বছর তারা ওই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে পিয়ংইয়ং দাবি করে। যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরিয়া উপদ্বীপে পাঠানোর ঘোষণার পর থেকেই কোরিয়া উপদ্বীপে কার্যত যুদ্ধাবস্থা জারি রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালালে যুক্তরাষ্ট্র আগেই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে দিত। কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেছে বলে জানা গেছে। পিয়ংইয়ং কোরিয়া উপদ্বীপে যে কোনো সামরিক মহড়াকে আগ্রাসন বলে মনে করে। তারা এর প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘মার্কিন আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলা চালানো হবে। মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দেয়া হবে।’ কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালানোর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তবে এখন যুক্তরাষ্ট্র জানাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ায় তাদের এখন হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। |