শিরোনাম: |
সংলাপ ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্র
|
বর্তমান ডেস্ক : প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলা করার হুমকিকে আমলে নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে সংলাপে বসতে রাজি আছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে তারা। উত্তর কোরিয়া সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আলোচনাই একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়ার অন্যতম মিত্র চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর এই বক্তব্যর পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এই মন্তব্য এলো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলন, পিয়ংইয়ং যেকোনো সময় টোকিও অথবা সিউলে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে। যদিও তারা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে হামলার সক্ষমতা এখনও অর্জন করেছে কি না তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পাশের দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রর সহস্রাধিক সৈন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ সময় উত্তর কোরিয়াকে বর্জন করে ‘বিচ্ছিন্ন’ রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান টিলারসন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে কি-না এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রর সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান এনপিআরের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানতে চাওয়া হলে টিলারসন বলেন, অবশ্যই এ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই পথেই সমস্যার সমাধান করতে বেশি পছন্দ করব। কিন্তু উত্তর কোরিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা ‘সঠিক বিষয়ে’ আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে কি-না। পিয়ংইয়ংকে বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক তত্পরতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই দুই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। তবে প্রয়োজন হলে আমরা সেনাবাহিনীও ব্যবহার করব। কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়া সীমালঙ্ঘন করে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেওয়ার সময় হয়েছে। সমস্যার সমাধানে সেনাবাহিনী ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ব্যবহার শুধু বড় ধরনের সহিংসতাকেই উসকে দেবে, এভাবে কোনো সমাধান আসবে না। কোরিয়া উপকূলে পারমাণু ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান শুধু আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।
|