শিরোনাম: |
চিরিরবন্দরে রাবার ড্যামে কৃষক উপকৃত
|
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে কাঁকড়া নদীর উপর নির্মিত রাবার ড্যাম প্রকল্পটি শুষ্ক মওসুমে কৃষিকাজে অল্পখরচে সেচ দেয়া, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে মত্স্য চাষের সুযোগ সৃষ্টি করে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে ৬ শত ৭৬টি কৃষক পরিবারের ভাগ্যবদলে গেছে।
বিগত দুই দশক ধরে শুষ্ক মওসুমে কৃষিকাজ ব্যহত হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রের অর্জন ধরে রাখা ও সুসংহত করার জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির পাশাপাশ ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ক্ষুদ্র ও মাঝারী নদীতে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উপজেলায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩০ মিটার দীর্ঘ, ৪ মিটার উচ্চতা ৮ মি:মি: পুরুত্ব বিশিষ্ট দেশের ৪র্থ রাবার ড্যাম নির্মাণ করে। ২০০১ সালের ১ জুন ক্ষুদ্র ও মাঝারী নদীতে ১০টি রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কাঁকড়া নদীতে ১৩০ মিটার রাবার ড্যাম তত্কালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী উদ্বোধন করেন। কংক্রিট ভিতের উপর ষ্টিলপ্যাডসহ অ্যাংকর বোল্ড ও নাট দিয়ে সংযোজিত ২০০ ঘনমিটার ক্যাপাসিটি ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাগের আয়ুস্কাল ১৫-২০ বছর। রাবার ড্যামটি নির্মাণ করায় সংরক্ষিত পানি চিরি নদীতে সরবরাহ করতে ২১৬ মিটার দৈর্ঘ্য চিরি লিংক খাল, লিংক খালে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ২-ভেন্ট দ্ধ ১.২ মিটার দ্ধ ১.৮ মিটার লিংক রেগুলেটর, ২.৫৬ কি.মি. সংযোগ সড়কে প্রকল্প এলাকার লোকজন উপকৃত হচ্ছে। রাবার ড্যামটি নির্মাণের ফলে ৪টি ইউনিয়ন সাইতাঁড়া, আব্দুলপুর, আউলিয়াপুকুর, তেতুলিয়া ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম পূর্ব সাঁইতাড়া, পশ্চিম সাঁইতাড়া, জগন্নাথপুর, দক্ষিণ শুকদেবপুর, চিরিরবন্দর, সনকৈড়, খোচনা, কুশলপুর, আন্ধারমুহা এলাকার ১৩ শত হেক্টর এলাকার ১ হাজার হেক্টর সেচ এলাকার ১ হাজার ৬ শত ৭৬টি পরিবার উপকৃত হচ্ছে। কাঁকড়া নদী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতিতে শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে তহবিল সৃষ্টি করে আত্ননির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। রাবারড্যামটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় থাকায় সংরক্ষিত পানি নদীর উজান দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পরে চরি লিঙ্ক খালের উপর একটি মিনি রাবারড্যাম স্থাপন করায় এলাকার কৃষকরা আরো সুবিধা ভোগ করছেন। |