শিরোনাম: |
অগোছালো বিএনপির লক্ষ্যহীন যাত্রা
|
এম. উমর ফারুক : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেও নীরব বিএনপি। নির্বাচনের প্রস্তুতি তো দূরের কথা এখনও দল গোছাতে পারেনি বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের এক বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি তিনি। ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আবার সিন্ডিকেটের পরামর্শে পদ পাওয়া নেতাদের জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করা হয়েছে চরমভাবে। ফলে নেতাদের মধ্যে কাঁদা ছুড়াছুড়ি আর অভিমান বেড়েছে। এমনকি কমিটি হয়নি ঢাকা মহানগরসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর। তৃণমূল গোছানোর নামে টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জনগনের মৌলিক ও দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ঠ কোনো ইস্যুতে রাজপথে নেই দলটি। দলের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্যহীন কর্মকাণ্ডে তৃণমূল নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি অনেক রাজনৈতিক দল। তাই দল গোছাতে সময় লাগছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় প্রতিদিন গুলশানের কার্যালয়ে এ নিয়ে কাজ করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক সঙ্কটগুলো নিরসন হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ও নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘিরে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সব সময় ভুল বুঝিয়ে থাকেন। তাই চলমান ইস্যুর সঙ্গে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক হয় না। আর ওই ভুল সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না নেতাকর্মীরা। ওই সিন্ডিকেটের কারণেই দল গোছাতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির দুটি পদ শুরু থেকেই শূন্য। অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। এতে শূন্য হয় আর একটি। এই তিন পদে আজ পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এদিকে, কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে, এক নেতার এক পদ এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেননি চেয়ারপারসন। পদ ছাড়তে কয়েকদফা চিঠি দিলেও আমলে নিচ্ছে পদধারীরা। তারা একাধিক পদধারী রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এখনও যারা একাধিক পদে আছেন তারা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক), ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু (কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক), আলতাফ হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী জেলার সভাপতি), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল (ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব), মজিবর রহমান সরোয়ার (বরিশাল মহানগরের সভাপতি), খায়রুল কবির খোকন (নরসিংদী জেলার সভাপতি), আসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক), সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু (লালমনিরহাট জেলার সভাপতি), অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (নাটোর জেলার সভাপতি), ফজলুল হক মিলন (গাজীপুর জেলার সভাপতি), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা মহানগরের সভাপতি)। এদিকে একাধিক পদ যারা ছেড়েছেন, তাদের বড় অংশই কেন্দ্রের দায়িত্ব ছেড়ে জেলায় থাকার কথা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কাউন্সিল করে জেলার নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলছেন। এ নিয়েও বিব্রত বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। একাধিক পদে থাকা নেতারা জানান, দলের দুর্দিনে এলাকায় কাজ করেছি বলে কেন্দ্রীয়ভাবে পদ দেয়া হয়েছে। তাই আমাদের ক্ষেত্রে এক নেতার এক পদনীতি শিথিল হওয়া প্রয়োজন। আর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কীভাবে দফতর সম্পাদক পদে থাকেন সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, রিজভীকেও পদ ছেড়ে দিতে হবে। নইলে আমরাও মেনে নেব না। সূত্রটি আরও জানায়, বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দফতর। অথচ সেই দফতর এখন সিন্ডিকেটের কবলে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। নিজেদের লোক দিয়ে সাজিয়েছেন দফতর। এই অযোগ্য নেতাদের সহ-দফতরের দায়িত্ব দেয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দফতরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। অযোগ্য সহ-দফতর সম্পাদকের পাঠানো ভুলে ভরা খুদে বার্তা পেয়ে বিবৃত সিনিয়র নেতারা। এমনকী ক্ষমতার বাইরে থাকা ১০ বছরের কোনো তথ্য নেই দফতরে। এই ১০ বছরে বিএনপির কত নেতা খুন গুমের শিকার হয়েছেন। সারাদেশে কত নেতাকর্মীর নামে কত মামলা তার কোনো পরিসংখ্যান নেই দফতরে। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল রোববার দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ডেকে আগামী দিন দিনের মধ্যে সারাদেশে খুন গুম মামলা হামলার ও নির্যাতনের তথ্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে এসব তথ্য জানতে চাইলে দিতে পারি না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের কাজ করে পদ-পদবী না পেয়ে আবার সম্মানসূচক পদ না পেয়ে অভিমান করে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন অনেক নেতা। সিন্ডিকেট নির্ভর খালেদা জিয়ার কোনো নির্দেশনায় মাঠে নামছেন না তারা। খালেদা জিয়াকে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসার পেছনে অন্যতম ভূমিকায় থাকা দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে সর্বশেষ কমিটিতেও কোনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ তারই হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করা একজন ব্যবসায়ী নেতাকে করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য। রাগে-ক্ষোভে নোমান রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও এখনও ঢিমেতালে দলের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেমকে স্থায়ী কমিটির সদস্য না করায় বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। রাজধানীর একটি মিলনায়তনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে শাহ মোয়াজ্জেম রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে জিয়া পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রমেরও ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী সেলিমা রহমানকেও কোনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফসহ আরো অনেক নেতার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ডাকসুর সাবেক ভিপি আর নব্বইয়ের গণঅভ্যূত্থানের নেতা, দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়েছে। নতুন পদে তিনি অসন্তুষ্ট হলেও সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন চাপা ক্ষোভ নিয়ে। নব্বই আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাজপথের আন্দোলন আর ওয়ান ইলেভেনের ত্যাগী নারী নেত্রী শিরীন সুলতানাকে এখন আর কোথাও দেখা যায় না। খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত এ নারী নেত্রীকে মহিলা দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটে রোষানলের শিকার হয়েছেন তিনি। যোগ্যতার ভিত্তিতে মুল্যায়ন না পেয়ে রাগে-অভিমানে দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ছাত্র নেত্রী থেকে উঠে আসা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া। রাজশাহী বিভাগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুকেও দলের সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়েছে। দলের নতুন কমিটিতে তাকেও করা হয়েছে চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা। তিনিও বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। বিগত কমিটির ১ম সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি। দলের দুর্দিনে সাংগঠনিক যোগ্যতাই দফতর পরিচালনা করছেন। দাফতরিক কাজে দক্ষ হওয়ার সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়েছে জিয়া পরিবারের সঙ্গেও ৩২ বছরের সম্পর্ক থাকা এ নেতাকে। সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে পদ থেকে। রাজনীতিতে সরব থাকা এ নেতা আজ নিষ্ক্রিয়। সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে সহ দপ্তর থেকে সহ প্রচার করায় তিনিও চলে গেছেন পর্দার অন্তরালে। এছাড়াও আরও অনেকেই রাজনীতিকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাউকে বিশ্বাস করেন না। তাই দলের নীতি-নির্ধারণে তাদের কোনো পরামর্শও নেয়া হয় না। গুলশান কার্যালয় আর নয়াপল্টন কার্যালয়ের যৌথ সিন্ডিকেটের প্রভাবে প্রবীণ এসব রাজনীতিবীদরাও দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলের দুই কার্যালয়ের দুই দুষ্টচক্র খালেদা জিয়াকে প্রভাবিত করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন- দলে তারা ছাড়া আর কেউ বিশ্বস্ত নাই। আর এ কারণে দলের জন্য আজীবন নিবেদিত ড. খন্দকার মোশাররফ, প্রবীণ রাজনীতিবীদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খানদের মতো নেতৃবৃন্দ এখন আর আগের মতো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারছেন না। নিজেদের ক্ষোভ আর অভিমান থেকে অনেক সিনিয়র নেতা বলছেন, ওরা (শিমুল-রিজভী) পারলে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় নিয়ে আসুক। পদবঞ্চিত নেতাদের মতে, ওই দুজনের কারণে পুরো দলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর এসব কারণে দলটির এখন শুধু অস্তিত্বই নয়, মানুষের মধ্যে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। বিএনপিতে সেনাবাহিনী প্রত্যাগত কর্মকর্তাদের এর আগে মূল্যায়ন করা হলেও সর্বশেষ কমিটিতে করা হয়নি বলে অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, আমি রাজনীতি করতে গিয়ে জেল-জুলুম, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। আমার মতো আরো অনেককেই এ রকম ত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু দলের সর্বশেষ কমিটিতে আমাদের অনেকের কোনো স্থান হয়নি। অথচ ৫০৩ সদস্যের ওই নির্বাহী কমিটিতে অনেক অপরিচিত-অযোগ্যদের পদ দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, দলটিকে নানা সময় পরামর্শ দিতেন কয়েকজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী, অধ্যাপক, আইনবিদও আইনজীবী। নানা সময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বা ভিন্ন কোনো উপায়ে দলের বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ তার হাতে তুলে দিতেন লিখিতভাবে। এই প্রক্রিয়াটিও বিএনপি প্রধানের পরামর্শেই তারা শুরু করেছিলেন। যদিও গুলশান কার্যালয় আর পল্টন কার্যালয়ের অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে তাদের প্রস্তাবগুলো গায়েব করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের দেয়া পরামর্শ ও মতামত গ্রহণে বিএনপির ধারাবাহিক নেতিবাচক আচরণ ও উপেক্ষার কারণে দলটির সিনিয়র বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহারসহ কয়েকজন নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মুক্তি পেলেও কোনো কর্মকাণ্ডে নেই। সূত্র জানায়, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এতটাই অগোছালো যে সহযোগী সংগঠন একটি গোছাতে পারেনি। প্রায় দুই বছর পার হলেও বিএনপির মহানগর কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি যুবদল মহিলাদল স্বেচ্ছাসেবক দল। ছাত্রদলের কোনো কমিটিই ঘোষণা করেনি। কবে করবে তাও জানেন না ছাত্রনেতারা। আর ঘোষিত জাসাস কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব কোন্দল চরমে। ৩০ সদস্যের জাসাস কমিটির মধ্যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। কমিটি নেই শ্রমিক দলের। নতুন কমিটি কবে হবে জানে না কেউ। সুত্র জানায়, তৃণমূল গোছানোর দায়িত্ব নিয়েছেন দলের একজন সহ-সভাপতি। কিন্তু কোনো জেলায় না গিয়ে ঢাকায় বসে কমিটি দেয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা। তাদের মতে, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ঢাকায় বসে টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি দিচ্ছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে দল তার সাংগঠনিক অবকাঠামো ঠিক করতে পারে না, সেদল কি করে ক্ষমতায় যাওয়া স্বপ্ন দেখে। দলের চেয়ারপারসনসহ শীর্ষ নেতাদের কর্মকাণ্ডে তারা হতাশ বলে জানান। |