রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মহিলাদলে কোন্দল
Published : Wednesday, 5 April, 2017 at 6:00 AM, Count : 494

এম. উমর ফারুক : ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না জাতীয়তাবাদী মহিলাদল। বিএনপির শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন মহিলাদল এখন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর দেখে বিভক্ত হয়ে পড়ে মহিলাদল। বিশেষ করে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানার বলয়ের নেত্রী ও কর্মীরা মহিলাদলের কর্মকাণ্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুমতিক্রমে মহিলাদলের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নতুন কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ নেতৃত্বাধীন নব গঠিত মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিনিয়র সহ সভাপতি করা হয়েছে নূরজাহান ইয়াসমিনকে, সহ-সভাপতি করা হয়েছে জেবা খানকে। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান। মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি করা হয়েছে পেয়ারা মোস্তফাকে, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আমেনা বেগমকে। এ ছাড়া মেহেরুন নেছাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, রোকেয়া বেগম তামান্না ও রাবেয়া আলমকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি করা হয়েছে রাজিয়া আলিমকে, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে শামসুন নাহার বেগমকে। সিনিয়র সহ সভাপতি করা হয়েছে আসমা আফরিনকে। সুরাইয়া বেগম ও রোকেয়া চৌধুরী বেবীকে করা হয়েছে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
নতুন কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আফরোজা আব্বাস তার বলয়কে শক্তিশালী করার জন্য নতুন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খানকে কাছে টেনে নেয়। মহিলাদলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাকে দিয়ে করান। এ নিয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। গড়ে তোলেন নিজের সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট চালাতে গিয়ে পাল্টে যায় আচরণ। তার আচরণে ক্ষুব্ধ হন মহিলানেত্রী ও কর্মীরা। তার নেতৃত্বে মেনে কাজ করতে অনেকই অনীহা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে মহিলাদলের সিনিয়র নেত্রীরা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলাদলের একটি অনুষ্ঠানে বসার সিট ও সেলফি তোলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশের ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীরা এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। কর্মীদের বারবার চেয়ারে বসার নির্দেশনা দিলেও মানেনকি কেউ। বরং সেলফি তোলা ও সামনের চেয়ারে বসা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে কর্মীরা অকথ্য ভাষায় শাসান জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিখা বলেন, আপনার এতো সমস্যা কি! চেনেন আমি কে? বেশি বাড় বাড়ছে। পরে দেখামু।
জবাবে সুলতানা আহমেদর উত্তেজিত হয়ে উঠেন। বলেন, এই তুমি কে! এইখানে থাকতে হইলে সিস্টেমে থাকতে হবে। কোনো বেয়াদবি মেনে নেয়া হবে না। সব ঠিক করে ফেলব।
এ সময় কিছু কর্মী সুলতানা আহমেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উভয়পক্ষের কর্মীরা। এমন সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সমস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে সুলতানা আহমেদ মঞ্চে উঠে যান।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft