শিরোনাম: |
ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাশ্রমে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ
|
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সূচনীপাড়ায় কালভার্ট নির্মাণ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কের অভাবে লোকজন চলাচল করতে পারতে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনে ধরনা দিয়েও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করতে না পারায় গ্রামবাসীর বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাশ্রমে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেছে।
উপজেলার সঙ্গে সূচনীপাড়াসহ ১০ গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে সূচনীপাড়া স্কুল সংলগ্ন একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার কালভার্ট নির্মাণ করলেও দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করেই তত্কালীন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের যোগসাজশে সমুদয় বিল তুলে নিয়ে যান। ফলে কালভার্টটি জনগণের চলাচলে কাজে আসেনি। কালভার্টটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনে ধরনা দিয়েও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করাতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে সূচনীপাড়া গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে অ্যাপ্রোচ সড়কসহ সূচনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সৈয়দপুর গ্রাম হয়ে মাদিলাহাট পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণ করেছে। এর ফলে বেতদীঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট, সৈয়দপুরসহ দৌলতপুর ইউনিয়নের সূচনীপাড়া, হড়হড়িয়াপাড়া, কাঁথাওড়া গ্রাম, চেয়ারম্যানপাড়া, শরীয়তপুরসহ ১০ গ্রামের মানুষ সূচনী স্কুল থেকে সৈয়দপুর গ্রাম ভায়া হয়ে মাদিলাহাট বাজারসহ উপজেলা সদরে এখন সহজেই চলাচল করতে পারবে। দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা লাইজু হোসেন জানান, সরকারের বিপুল অংকের অর্থ ব্যয়ে নির্মিত কালভার্টটি জনসাধারণে চলাচলের অনুপযোগী থাকায় বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে অ্যাপ্রোচসহ সড়ক নির্মাণ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদের প্রচেষ্টায় সূচনীপাড়া স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করে পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির অর্থ দিয়ে অ্যাপ্রোচ সড়কে কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। আগামীতেও মাটি ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তিরা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য গ্রামবাসী দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ কাজ করেছেন। |