শিরোনাম: |
অনন্য এক গৌরবের মালিক মুশফিক
টাইগারদের জন্য বিশেষ উপহার
|
ক্রীড়া ডেস্ক : কলম্বোর পি.সারা ওভালে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। শততম টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। শততম টেস্টে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়াটা গৌরবই বটে মুশির কাছে। মুশফিকের আগে এই অর্জনের মালিক হয়েছেন টেস্ট খেলুড়ে অন্য ৯টি দেশ। ৯টি দেশের ৯ জন অধিনায়কের পাশে এবার নিজের নাম বসালেন মুশফিক।
ইংল্যান্ডের হয়ে শততম টেস্টে নেতৃত্ব দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন আর্চি ম্যাকলারেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের প্রথম অধিনায়ক যিনি শততম টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯০৯ সালে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের শততম টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছিলেন ম্যাকলারেন। ঐ ম্যাচে ১২৬ রানে হেরেছিল ইংলিশরা। এরপর বিশ্বের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে দেশকে শততম টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিড গ্রিগরি। ১৯১২ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার শততম ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন গ্রিগরি। ঐ ম্যাচটি অসিরা জিতেছিল ইনিংস ও ৮৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শততম টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডাডলি নার্স। ১৯৫০ সালে পোর্ট এলিজাবেথে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নামে প্রোটিয়ারা। ঐ ম্যাচটি ইনিংস ২৫৯ রানে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শততম টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন স্যার গ্যারি সোবার্স। ১৯৬৫ সালে জ্যামাইকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শততম টেস্টে ১৭৯ রানে জয় পায় ক্যারিবীয়রা। বিশ্বের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে দেশকে শততম টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের মনুসর আলী খান পতৌদি। ১৯৬৭ সালে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় টেস্টে ১৩২ রানে হারে ভারত। নিউজিল্যান্ডের হয়ে শততম টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন বেভান কংডন। ১৯৭২ সালে বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিউইদের শততম টেস্টের অধিনায়ক ছিলেন কংডন। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের শততম টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন মুশতাক মোহাম্মদ। মেলবোর্নের ঐ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭১ রানে জয় পায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা নিজেদের শততম টেস্ট খেলে ২০০০ সালে। ঐ ম্যাচে লঙ্কানদের অধিনায়ক ছিলেন সনাথ জয়সুরিয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বের সর্বশেষ অধিনায়ক হিসেবে দেশকে শততম টেস্টে নেতৃত্ব দেয়া দলনেতা এতদিন ছিলেন জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার। এবার তাকে সরিয়ে দেশকে শততম টেস্টে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক হলেন মুশফিক। ২০১৬ সালের অক্টোবরে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি ২২৫ রানে হারলেও, শততম ম্যাচের অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রেমার। বাংলাদেশের শততম টেস্ট নিয়ে বিশেষ আয়োজন ছিল দুই বোর্ডের পক্ষ থেকেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় টস হওয়ার পর দুই দলের অধিনায়ক নিজেদের মধ্যে পতাকা বদল করেছেন। এরপর মাঠের এক কর্নারে শততম টেস্ট উদযাপনে বিশেষ আয়োজন পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমেই দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এর সঙ্গে দু’দেশের পতাকা ও আইসিসিরি পতাকা উত্তোলন করা হয়। শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বিসিবি সভাপতি বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এ সময়। এর কিছুক্ষণ বাদেই বাংলাদেশের শততম টেস্ট উপলক্ষে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে বাংলাদেশ ও লঙ্কান খেলোয়াড়দের মেডেল প্রদান করা হয়। বিসিবি সভাপতি ও শ্রীলঙ্কান সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা ক্রিকেটারদের মধ্যে এই মেডেল বিতরণ করেন। সোনালি রঙের স্মারক মেডেলটিতে লেখা রয়েছে, ‘ঈড়হমত্ধঃঁষধঃরড়হ ঙহ ঞযব ঈবহঃঁত্ু ঞবংঃ গধঃপয চষধুবফ ইু ইধহমষধফবংয.’ মেডেলগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ রঙের রিবন। এছাড়া লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকেও দিয়েছে বিশেষ উপহার। হাতির একটি মূর্তিকে রূপালি রঙের প্রলেপ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে কাঁচের বাক্সের ফ্রেম আকারে তুলে দেয়া হয় বিসিবি সভাপতির হাতে। এদিকে টস শেষেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তাদের জন্য বানানো বিশেষ ব্লেজার উপহার পেয়েছেন। ব্লেজারে লেখা রয়েছে,‘১০০ঃয ঞবংঃ, ইধহমষধফবংয ঈত্রপশবঃ ইড়ধত্ফ’। সঙ্গে রয়েছে বিসিবির লোগো। সবশেষে বেলুন উড়িয়ে শততম টেস্ট উদযাপনের বিশেষ আয়োজন শেষ করা হয়। |