শিরোনাম: |
রাঙ্গাবালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে ফেলায় জনদুর্ভোগ
|
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার গহীনখালী খালের ওপর নির্মিত দীর্ঘদিনের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়াসহ হাজার হাজার পথচারী ভোগান্তিতে পড়েছে।
উপজেলা সদরের বাহেরচর বন্দর ও পার্শ্ববর্তী ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহীনখালী এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের ভরসা ছিল সেতুটি। সেতুর দুই পাড়ে শনি, সোম ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক তিনটি হাট বসে। রয়েছে কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মসজিদ, মন্দির। প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করতো। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে স্কুল, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসার ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ লোকজন এক কিলোমিটার দূরের একটি বিকল্প সেতু দিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে উপজেলার গহীনখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৫ মিটার ও প্রস্থ ২ মিটার। ২০১২ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার থেকে সেতুটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহীনখালী গ্রামের রাকিব হাসান বলেন, ‘এই সেতুটি দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল। ব্যবসায়ীদের বিভিন্নকাজে দুই পাড়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। অথচ সেতুটিতে চলাচল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।’ রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর বন্দরের বাসিন্দা সুব্রত সিকদার বলেন, এই সেতুটি দিয়ে ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সহজভাবে চলাচল করতে পারত। কিন্তু এখন সেতু না থাকায় তাদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে ফেলা পর মালামাল ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হচ্ছে। আগামী মাসে ওইসব মালামাল নিলামে দিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল মান্নান বলেন, ‘দুই এলাকার মানুষের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাবাসীর স্বার্থে ওখানে একটি বাঁশের সাঁকো করা হবে।’ |