বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশে প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে প্রাণ হারায় লক্ষাধিক মানুষ
Published : Monday, 13 March, 2017 at 6:00 AM, Count : 1449

মো. আলতাফ হোসেন : বায়ুতে যেসব পদার্থের উপস্থিতি থাকে তা প্রাকৃতিক না হওয়াকেই বায়ু দূষণ বলে। এসব উপাদানের মধ্যে আছে যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শিল্প কারখানার ধোঁয়া আর বর্জ্য থেকে নির্গত গ্যাস, ইটের ভাটার দূষণ, পোড়ানো কয়লা ইত্যাদি থেকে নির্গত গ্যাস বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, সিসা ও হাইড্রো কার্বন ইত্যাদি তৈরি করে। বায়ুতে এসব পদার্থের উপস্থিতি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি হয়ে গেলে মানুষের স্বাস্থ্য, গাছপালা, পশু-পাখি এবং চারপাশে জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষতিকারক পদার্থ বাতাসে মেশার ফলে বায়ু দূষণ হয়। বায়ু দূষণের ফলে স্বাস্থ্যের বায়ু দূষণ হয়। বায়ু দূষণের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, পরিবেশ এবং সম্পদও নষ্ট হয়। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে জলবায়ুর ওপর এবং তা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়।
বিশুদ্ধ বায়ু প্রকৃতির অমূল্য দান, যা ছাড়া মানুষ, প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্র্য টিকে থাকা সম্ভব নয়। জনস্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী গড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ মারা যায়। এছাড়া বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হন আরও কয়েক লাখ মানুষ। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে প্রাণ হারায় ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ জন মানুষ। বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। গত কয়েক বছরে বায়ু দূষণের কারণে ঢাকার জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বায়ু দূষণের ফলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে এগুলোর জন্য ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
কিন্তু উদ্বেগজনক বাস্তবতা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ এদেশের ৮টি শহরের বায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এসব শহরের কয়েক কোটি মানুষ নিজেদের অজান্তে প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। বায়ু দূষণের কারণে ক্রনিক অবস্ট্রাস্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা শ্বাসনালীর স্থায়ী রোগী কত মানুষ ভুগছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ এই রোগ। ২০১২ সালে এই রোগে বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা গেছে; বাংলাদেশ তার একটি। হাঁপানির পেছনেও বায়ু দূষণ ব্যাপকভাবে দায়ী।
বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে একটি ঢাকা। কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বসবাস অযোগ্য শহর হিসেবেও শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং কলকারখানা গড়ে তোলার কারণে ঢাকা আরও বেশি কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বায়ু। বর্তমানে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ এতোটাই ভয়াবহ যে, মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে হাঁপানি ফুসফুস, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগ-ব্যাধিতে।
১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ভারত ও বাংলাদেশে। আর এই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই বিশ্বে বায়ু দূষণের সূত্রপাত। শিল্প বিপ্লবের পর ব্যাপকহারে কলকারখানা স্থাপন করা হলে ধরিত্রী কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হওয়া শুরু করে। তবে বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বড় ঘটনা ঘটেনি, যা মানুষের মনকে গভীরভাবে আকর্ষণ করে। বিংশ শতাব্দীতে সর্ব প্রথম ধোঁয়াশার কারণে বড় মাত্রার বায়ু দূষণ মানুষের প্রত্যক্ষ নজরে আসে। সম্প্রতি অনেক শিল্পায়িত দেশেই নাইট্রোজেন ড্রাই অক্সাইড শিল্পায়িত দেশেই নাইট্রোজেন ড্রাই অক্সাইড ও তার যৌগমুক্ত করার সালফার যৌগের অবস্থান হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ব্যাপক পরিমাণে ফসিল জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষণ ও এসিড বৃষ্টি হচ্ছে।
বায়ু দূষণের কয়েকটি উেসর মধ্যে অন্যতম হলো ইটভাটা। বিশেষত শুকনো মৌসুমে দেশের শহরাঞ্চল এবং উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো মারাত্মকভাবে ইটভাটার দূষণে আক্রান্ত হয়। এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় সালফারের অক্সাইডজনিত বায়ু দূষণে ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ ঘটে ইটভাটার কারণে। যানবাহনের ধোঁয়া থেকে এ দূষণ ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ অন্যান্য শিল্প কারখানা থেকে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বুুড়িগঙ্গার জলযান এবং অন্যান্য উত্স থেকে অবশিষ্ট পাঁচ শতাংশ দূষণ ঘটে। পক্ষান্তরে নাইট্রোজেন অক্সাইডজনিত দূষণের সিংহভাগ আসে যানবাহন থেকে। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ যানবাহন থেকে, ইটভাটা থেকে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, গৃহস্থালি থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, শিল্প কারখানা থেকে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, নৌচলাচল থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক উত্স্য থেকে ২ শতাংশ।
শীত মৌসুমে দেশের প্রায় ৮ হাজার ইটভাটাতে অন্তত ২৫০ কোটি ইট তৈরি মালিক সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি। প্রতিটি ইট পোড়াতে কাঠ বাতিল টায়ার ও ফার্নেস অয়েল পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটায় ব্যবহূত এসব কয়লায় মাত্রাতিরিক্ত সালফার থাকার কারণে অধিক মাত্রায় বায়ু দূষণ হচ্ছে। দেশে বিদ্যমান পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা আইন অনুযায়ী কয়লায় ১ শতাংশের বেশি মাত্রায় সালফার থাকলে তা ব্যবহার নিষিদ্ধ। রোড নেটওয়ার্ক, যানবাহনের ধরন এবং অনুন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা শহরে যানবাহনজনিত বায়ু দূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি।
বায়ু দূষণে শুধু যানবাহনের ধরনের ওপর নির্ভর করে তা নয়, যানবাহনে ব্যবহূত জ্বালানিই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। সরকার ২০০০ সালের পর থেকে সিসামুক্ত পেট্রল আমদানি বন্ধ করায় বাতাস সিসামুক্ত করা সম্ভব হলেও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ এখনও আশঙ্কাজনক মাত্রায় বিরাজ করছে। বায়ু দূষণের উত্স হিসেবে দেশে এখনো প্রথম অবস্থানে আছে যানবাহনের কালো ধোঁয়া। কার্বন মনো অক্সাইডের দূষণের উত্সও হচ্ছে এই কালো ধোঁয়া। বিশেষত শহরাঞ্চলের বায়ু দূষণের জন্য যানবাহনের ধোঁয়া অধিক মাত্রায় ভূমিকা রাখে। এসব যানবাহনের সবই চলে তরল জ্বালানি পেট্রল এবং ডিজেল দ্বারা। দেশে বছরে যে ৫০ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানি করা হয় তার সিংহভাগই ব্যবহার করা হয় যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে। এছাড়া অধিকাংশ ফিটনেসবিহীন গাড়ির ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের কারণে বায়ু দূষণের পরিমাণ আরো বেশি বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন। পাশাপাশি এক জাতীয় মিশ্রিত জ্বালানি ব্যবহারে গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষতি এবং বায়ু দূষণ দুটোই বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ঘনত্বের সিসাপূর্ণ বাতাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। বিএইসির হিসেবে বছরে ঢাকার বাতাসে ৫০ টনের বেশি সিসা ছড়াচ্ছে।
সন্দেহ নেই বায়ু দূষণ এক বিশ্বজনীন সমস্যা। আমাদের গ্রহের অধিবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি হয়েও দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক তথ্য হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। ৯১টি দেশের এক হাজার ৬০০টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ২৫টি শহরের তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপের ফল অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ুর ২৫টি শহরের তালিকায় নারায়ণগঞ্জের অবস্থান ১৭তম। গাজীপুর ২১তম ও ঢাকা ২০তম অবস্থানে। তালিকায় সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিকে। সবচেয়ে বেশি দূষণের দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে পাকিস্তান। তালিকায় ১০ নম্বরের মধ্যে থাকা অন্য দেশগুলো ইরান, মিসর, মঙ্গোলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও বাহরাইন। বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও (পবা) আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। গত ১৮ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে ‘ধুলা দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি ২০১৭ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানানো হয়। আর বায়ু দূষণের কারণে শিশু মৃত্যু হারের দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এই তথ্য তুলে ধরে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ঢাকায় বর্তমানে ধুলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধুলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার ধুলায় বিষাক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি বলেন, শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগজীবাণু মিশ্রিত ধুলা ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ধুলা প্রতিরোধে পরিবেশ আইন অনুসারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধুলা দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করা, ধুলা দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বায়ু দূষণের ফলে যেসব রোগে মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটছে তার মধ্যে রয়েছে তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, হূদরোগ এবং স্ট্রোক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বায়ু দূষণের কারণে প্রতিদিন ১০৩ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বায়ু দূষণ ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদেরই ভুলে। বিশেষত দেশের নগর এলাকাগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। অথচ মানুষ একটু সতর্ক হলেই বায়ু দূষণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি যেসব কারণে বায়ু দূষণ ঘটছে তা রোধে প্রশাসনের কঠোর মনোভাব দেখাতে হবে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির সবচেয়ে বড় কারণ এখন বায়ু দূষণ, সারা বিশ্বে প্রতি ৮ মৃত্যুর একটির কারণ এই বায়ু দূষণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও তাদের প্রতিবেদনে জানায়; গত এক দশকে বায়ু দূষণে মৃত্যুর হার চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৮০ লাখ মানুষ বায়ু দূষণের কারণে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তীয় ও দক্ষিণ পূর্ব এশীয় অঞ্চলে প্রাণহানির হার সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, ৮০ লাখের মধ্যে ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায় ঘরের বাইরের বায়ু দূষণের কারণে।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) জানিয়েছে, বাইরের বায়ু দূষণ মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টির একটি কারণ। বিশেষ করে ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যানসাররের অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। ডব্লিউএইচও ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, শ্বাসযন্ত্র ও হূদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। প্রাকৃতিক এই দূষণের কারণে মানবদেহে ক্যানসারও বাসা বাঁধছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি ঠেকাতে ৬৮তম সভায় বিশ্বের সকল দেশকে বায়ু দূষণ রোধে সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও। দূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। জ্বালানির ব্যবহার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আলোর প্রযুক্তিতে দূষণকারী পদার্থে নির্গমন যথাসম্ভব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে এ বৈঠকে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft