শিরোনাম: |
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন
|
বর্তমান ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে এবং দিবসটির উদযাপনে মার্কিন জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কংগ্রেসে নতুন একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ এই দিন। গ্রেস মেং দিনটির তাত্পর্য সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই নতুন বিল উত্থাপন করেন। ভাষার বৈচিত্র্য ও বহুভাষিক চর্চায় আরও সচেতনতার জন্য ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদান করে। দিনটি বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশিদের জন্য দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে থাকে। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ ও তত্কালীন পূর্ব-পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ। ভাষার জন্য এই আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। মার্কিন কংগ্রেসে গ্রেস মেংয়ের উত্থাপিত বিলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের লক্ষ্য ও আদর্শকে সমর্থনের আহ্বান জানানো হয় কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি। তাছাড়া দিবসটিকে যথাযথ কর্মসূচি ও আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পালনের জন্য মার্কিনিদের সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বানও জানানো হয়েছে ওই বিলে। কংগ্রেসে মেং নিউইয়র্কের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার নির্বাচনি এলাকায় বহু বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ রয়েছে। এর আগেও তিনি কংগ্রেসে দু’বার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বিল উত্থাপন করেছেন, তবে তা পাস হয়নি। কংগ্রেস সদস্য জোসেফ ক্রাউলেও একই রকম বিল উত্থাপন করেছেন কংগ্রেসে। মেং বলেন, ‘এই বিল হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এক ব্যতিক্রমী পন্থা। আবারও কংগ্রেসে এই বিল উত্থাপন করতে পারায় আমি গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দিনটির তাত্পর্য এবং বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের কাছে দিবসটির গুরুত্ব সম্পর্কে মার্কিনিদের অবগত করা দরকার। খুব শিগগির আমি এই বিলের ওপর ভোট আশা করছি।’ ওই বিলে বলা হয়, “ইউনেস্কোর তথ্যমতে, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা হুমকির মুখে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ছয় হাজার ভাষার মধ্যে গত তিন প্রজন্মের মধ্যেই দুই শতাধিক ভাষা ‘লুপ্ত’ হয়েছে। আরও ২২৭৯টি ভাষাকে ‘বিপন্ন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’ |