মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মিউনিখে ক্লাইমেট সিকিউরিটি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সমস্যার সমাধান বৈশ্বিকভাবে হতে হবে
Published : Sunday, 19 February, 2017 at 6:00 AM, Count : 431

বর্তমান প্রতিবেদক : জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক তহবিল গঠনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্পদের ওপর চাপ বাড়ে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং এর সমাধান অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে হতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত এবং কার্যকর পদক্ষেপ। কোনো একটি দেশের অসহযোগিতা সবার জন্য হুমকি হতে পারে। সে জন্য আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেব।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘ক্লাইমেট সিকিউরিটি গুড কপ, ব্যাড কপস’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ডয়েচে ভেলের চিফ পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট মেলিন্ডা ক্রেইনের সঞ্চালনায় আলোচনায় ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগোট ওয়ালস্টোম, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেলডন হোয়াইটহাউস অংশ নেন।
এদিকে জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইতেহাদ এয়ারওয়াজের উড়োজাহাজ। এর আগে জার্মানিতে দুই দিনের সফর শেষে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৩টা) মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আবুধাবিতে পৌঁছায় স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা যাত্রাবিরতি দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ইতিহাদ এয়ারওয়াজের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে ফের রওনা করেন শেখ হাসিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
পানির জন্য বৈশ্বিক তহবিল গঠনের আহ্বান
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর প্রভাবকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা ও সংঘাত তৈরি হতে পারে। যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করে তুলতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে খাদ্য উত্পাদন এবং মান উভয়ই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু চাষাবাদ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। পানি নিরাপত্তাকে দ্বিতীয় উপাদান হিসেবে তুলে ধরে পানির জন্য তহবিল গঠনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে জীবন ও জীবিকার জন্য বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসনকে তৃতীয় উপাদান হিসেবে তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসনে বাধ্য হচ্ছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft