শিরোনাম: |
গলাচিপায় বাঁধ কেটে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ
|
গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর উপকূলীয় গলাচিপায় প্রভাবশালীরা চিংড়ি চাষের জন্য একের পর এক উপকূল রক্ষা বাঁধ কেটে লবণাক্ত পানি ঢোকাচ্ছেন। এতে পানি ও মাটিতে লবণাক্ততার মাত্রা বেড়ে এলাকার কৃষি, ভূপ্রকৃতি, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য ও জীবনযাত্রা মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড জলোচ্ছাস ও লবণাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধে গলাচিপার সাগর তীরের ৫টি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছিল। প্রায় দুই দশক আগ থেকে উপজেলার সাগরপাড়ের জনপদ চরমোন্তাজ, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ঘের নির্মাণ করে বাগদা চিংড়ি চাষের প্রচলন শুরু করা হয়। পর্যায়ক্রমে এলাকার মানুষ ফসল উত্পাদনের চেয়ে চিংড়ি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এরফলে সমুদ্রের লবণ দানব উপকূলের উপরিভাগে অগ্রসর হতে থাকে। কৃষিক্ষেত্রে লবণাক্ততার সহনশীলতার মাত্রা ১ থেকে বেড়ে ১.৫ পিপিটিতে পৌঁছে। এলাকায় ২০১১ সালে লবণাক্ততার গড় মাত্রা এর দ্বিগুণ ছিল, যা কৃষি ক্ষেত্রে সহনশীলতার চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততার কারণে আমন, আউশ, উফশী, বোরো এবং শুষ্ক মৌসুমে রবিশস্য চাষ ব্যাহত হচ্ছে। পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ মানুষ এখন লবণ দানবের সঙ্গে জীবন-জীবিকার সংগ্রাম করছে। লবণাক্ততা বিস্তারের ফলে বিভিন্ন প্রকারের জলজপ্রাণী হারিয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ। এতে সৃষ্ট লবণাক্ততার বিনিময়ে সামান্য কিছু লোক আর্থিকভাবে লাভবান হলেও কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। গলাচিপা কৃষি দফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, ক্রমাগত জমিতে লোনা পানি ধরে রাখায় |