শিরোনাম: |
আত্রাইয়ে শীতের সন্ধ্যায় ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম
|
আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতা : সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাপা পিঠার গরম ও সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয়ে শীত পালায়। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার অলি-গলির ফুটপাতের বিভিন্ন পয়েন্টে পিঠা তৈরি ও বেচাকেনার ধুম চলছে। পিঠাপ্রেমী মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের পিঠার দোকানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভিড় করছেন। আবার অনেককেই পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়া রেওয়াজে পরিণত করেছেন। অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সন্ধ্যার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শ্রমজীবী, রিকশা-ভ্যানচালক, গাড়িচালক, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণির লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শীতের পিঠা। শীতে ফুটপাতের পিঠাওয়ালা অভিজাত গৃহবধূদের পিঠা তৈরির কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। গ্রাম থেকে শহরের সব পরিবারেই পিঠার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পিঠা তৈরিতে গৃহবধূদের নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। নানা উপকরণ দরকার পড়ে। আবার তার সঙ্গে অভিজ্ঞতা। সব মিলে অন্যসব খাবারের মতো সহজে শীতের পিঠা তৈরি করা যায় না। সামর্থেরও প্রয়োজন পড়ে। যাদের সংসারে অধিক মূল্যে চিনি, গুড়, দুধ কেনা কষ্টসাধ্য। তাদের কাছে পিঠা খাওয়া শুধুই স্বপ্ন। কিন্তু তারপরও তাদের পিঠা খাওয়া থেমে থাকে না। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক পিঠার দোকান গড়ে ওঠেছে। এসব পিঠার দোকান প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বসছে। এ সব ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকই হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য। স্বচ্ছলতা ফেরাতে সংসারে অর্থের যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে তেলপিঠা, চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। তারা প্রতিটি পিঠা ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করছে। ভ্যানচালক, দিনমজুর, পথচারী ও শিশু-কিশোর ছাত্রছাত্রীরাও এসব পিঠার দোকানের ক্রেতা। এছাড়া অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা মর্নিং ওয়ার্ক করে ফেরার সময় পিঠা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যান। সকাল- সন্ধ্যা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে, স্টেশন |