শিরোনাম: |
নতুন বছরে তাদের প্রত্যাশার কথা
|
বিনোদন প্রতিবেদক : ২০১৬ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে সবাই। নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কেউ কেউ নবউদ্যমে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। দেশের সংস্কৃতি ও শোবিজ অঙ্গনের মানুষ চান নতুন বছরে রাষ্ট্রের অস্থিরতা কমে আসুক। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী যেভাবে ২০১৬ সালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল সেটা যেন নতুন বছরে না থাকে। অস্থিরতামুক্ত সুন্দর কাজের ক্ষেত্র চান সবাই। সংস্কৃতি ও শোবিজ অঙ্গনের পাঁচ ব্যক্তিত্ব জানাচ্ছেন নতুন বছরে তাদের প্রত্যাশার কথা। রামেন্দু মজুমদার সাম্মানিক সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট দেশের রাজনৈতিক অবস্থা শান্ত থাকবে। রাজনৈতিকভাবে কোনো সংহিস কোনো ঘটনা ঘটবে না। আমাদের সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ ঘটবে। নাট্যাঙ্গনে নতুন মানসম্পন্ন নাটক আসবে। কেবল সংখ্যায় নয়, মানের দিক থেকে নতুন বছরে আমাদের কিছু নাটক মঞ্চে আসবে। নতুন বছরে এটাই আমার প্রত্যাশা। নাসির উদ্দিন ইউসুফ সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (বাংলাদেশ কেন্দ্র) নতুন বছরে জঙ্গিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত এবং নারী নির্যাতনমুক্ত বাংলাদেশ চাই। যে বাংলাদেশে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা হবে। মানুষের জয়গান হবে। সংস্কৃতিচর্চা হবে শেকড় সম্পৃক্ত। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তরুণরা ভালো কাজ করছে। এটাই আমাদের সম্ভাবনা এবং নতুন স্বপ্ন দেখায়। নতুন বছরে আরেকটি প্রত্যাশা রয়েছে একমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আন্দোলন তৈরি করা। বাংলা মাধ্যম, মাদরাসা এবং ইংরেজি মাধ্যমকে একমুখী শিক্ষানীতির আওতায় আনার জন্য নতুন বছরে আন্দোলন হওয়া উচিত। মুশফিকুর রহমান গুলজার সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নতুন বছরে চলচ্চিত্রে নতুন গতিধারা তৈরি করতে চাই। ২০১৬ সালের শেষ দিন নির্বাচনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। এর আগে পরিষদে মহাসচিব ছিলাম। তখন কিছু কাজ করেছি। এবার সেই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সুদূরপ্রসারী কাজ করতে চাই। ২০১৭ সালে চলচ্চিত্রকে সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল রূপে দেখতে চাই। এফডিসির একটা সার্ভার থেকে যেন সারাদেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এখন যেটা হচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা পার্সেন্টেজ নিচ্ছে। এতে প্রযোজকের হাতে পুরো টাকাটা আসছে না। চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে প্রদর্শন পর্যন্ত সত্যিকারের ডিজিটাল চর্চা করতে চাই। তাই আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাব যেন একটা মূল সার্ভার থেকে সারাদেশের হলগুলোতে সিনেমা প্রদর্শন করা হয়। এটা করতে পারলে পাইরেসি বন্ধ হবে। প্রযোজকরা টাকা লগ্নি করে লাভবান হবে। মাসুম রেজা সভাপতি, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ টেলিভিশন মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে এফটিপিও’র ব্যানারে আন্দোলন করছি। নতুন বছরে টেলিভিশন মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে আরও কাজ করতে চাই। টিভি দর্শকদের ভালো অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, মানসম্পন্ন নাটক উপহার দিতে চাই। এছাড়া থিয়েটারের ব্যস্ততা তো আছেই। বছরের শুরুতেই আমার লেখা ও নির্দেশনায় মঞ্চে আসছে নতুন নাটক |