শিরোনাম: |
সর্বকালের আদর্শ মহানবী (সা.)
|
মোহাম্মদ আবু জাফর : রাহমাতুল্লিল আলামিন, সাইয়্যিদুল মুরসালিন, খাতামুন্নাবিয়্যিন, শাফিউল মুজনিবিন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের বিলাদাতের মাস পবিত্র রবিউল আউয়াল। এ মাসের ১২ তারিখ প্রিয় নবী দুনিয়াতে আবির্ভাব করেছেন। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্ববহ এ দিবসটি পৃথিবীজুড়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে উদযাপিত হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম ও মৃত্যুর পুণ্য স্মৃতিময় দিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে অর্থাত্ ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের মূহুর্তে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার গর্ভে মুহম্মদ (সা.) জন্ম গ্রহণ করেন। ৬৩ বছর বয়সে এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার জন্মের আগেই মারা যান তার বাবা আব্দুল্লাহ। জন্মের পর মাত্র ৬ বছরে হারান মাকেও। বাবা-মা হীন মুহম্মদ (সা.) শিশু ও বাল্যকালে চরম কষ্ট সহ্য করে দাদা আবদুল মুত্তালিবের গৃহে লালিত-পালিত হন । তার এ আশ্রয়ও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দাদা আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর মুহম্মদ (সা.) তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন। কুরাইশ বংশ তত্কালীন মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশ হলেও মুহম্মদ (সা.) এর দাদা কিংবা চাচারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না। বাল্যকালে চাচার তত্ত্ববধানে থাকাকালীন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের বকরি-ভেড়া চড়াতেন তিনি। রাখাল থাকা অবস্থাতেই মুহাম্মদ (সা.) এর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তা, বিশ্বস্ততা ও বিভিন্ন গুণ প্রকাশ পেতে থাকে। পৃথিবী, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র তাঁর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল। আবার আল্লাহ প্রদত্ত সব দায়দায়িত্ব সফলভাবে সম্পাদন করে এই দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র সান্নিধ্যে চলে যান। আজকের দিনটি তাই অত্যন্ত পবিত্র, মহিমান্বিত ও অনন্য। সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান অত্যন্ত জাঁকজমক, ভক্তি ও মর্যাদার সঙ্গে বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে এই ঈদে মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মের ঈদ পালন করেন। যাঁকে সৃষ্টি না করা হলে কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না তাঁর সেই পবিত্র জন্মদিনের চেয়ে খুশির দিন সৃষ্টিকুলের জন্য আর কোনোটিই হতে পারে না। মহানবী (সা.)-এর পবিত্র জন্মদিনই তামাম দুনিয়ার সৃষ্টির জন্য এক বিরাট নিয়ামত প্রাপ্তির দিন, মহাখুশির দিন, সর্বোত্তম দিন। যুগে যুগে মানুষকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালা নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী রাসুলে করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁদের মধ্যে শেষ ও শ্রেষ্ঠ। সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের জন্য তিনি শান্তি ও কল্যাণের বাণী নিয়ে এসেছিলেন। মানবজাতির কল্যাণেই উত্সর্গীকৃত ছিল তাঁর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবন। তিনি ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ, সত্, সত্যবাদী এক মহাপুরুষ। মানবের মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন তিনি এবং সে লক্ষ্যেই ব্যয় করেছেন জীবনের সবটুকু সময়। নবুয়ত প্রাপ্তির আগেই তাঁর |