শিরোনাম: |
মিরসরাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গো-মহিষের চারণভূমি
|
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : মিরসরাইয়ে ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে গবাদী পশু গো-মহিষের চরণ ভূমি। একদিকে কমছে কৃষি জমি অন্যদিকে বিভিন্ন চর অঞ্চলে গড়ে উঠছে অর্থনৈতিক জোন। তাই ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে গো-মহিষের চরণ ভূমি। এতে করে গবাদি পশু পালনকারীরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। জানা গেছে, মিরসরাইয়ের চর অঞ্চল বিশেষ করে ইছাখালী ও ওসমানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের এক মাত্র অবলম্বন গবাদি পশু পালন। তবে গবাদি পশুর মধ্যে মহিষের পালন বেশি। গরু কিংবা ছাগল স্বল্প জায়গায় পালন করা গেলেও মহিষ পালনে বেশি জায়গার প্রয়োজন পড়ে। তাই ইছাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার মহিষ পালন করছে স্থানীয়রা। প্রায় প্রতিটি পরিবারে একাধিক মহিষ রয়েছে। আর এসব মহিষ থেকে পাওয়া দুধ ও দই বিক্রি করে তাদের পরিবার চলে আসছে। ইছাখালী ও ওসমানপুরের হাজার হাজার একর চর গরু মহিষ পালনের উপযুক্ত স্থান। চরকে কেন্দ্র করে এসব অঞ্চলের মানুষ গো-মহিষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলায় মহিষ চরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন। ইছাখালী ইউনিয়নের চতশরত্ এলাকার বাথান (যারা মহিষ পালন করে স্থানীয় ভাষায় তাদের বাথান বলা হয়) মতিউর রহমানের ছেলে মাঈন উদ্দিন জানান, এ এলাকার প্রতিটি পরিবারের কাছে কমপক্ষে দুটি করে মহিষ রয়েছে। প্রতিদিন সকালে এলাকার বাথানরা বিলে সব মহিষ চরানোর জন্য চরে নিয়ে যায়। কিন্তু অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হওয়ার পর তারা মহিষ চরাতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে হাজার হাজার মহিষ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিরাপত্তা কর্মী এসআই সানোয়ার হোসেন জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি খননের কাজ চলছে। তাই মহিষ চরানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিষেধ করেছেন। কারণ মহিষ চরানোর ফলে বাঁধের মাটি সরে যাচ্ছে। ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তাফা জানান, কোটি টাকা খরচ করে ইকোনমিক জোনের বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। মহিষের কারণে বাঁধের মাটি সরে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাময়িকভাবে বাঁধ এলাকায় মহিষ চরানোর জন্য নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু একপাশে নিষেধ করা হলেও ইকোনমিক জোনের বাইরে মহিষ চরানোর কোনো নিষেধ নেই। |