শিরোনাম: |
চাটমোহরে তিন বাঘডাশ আটক মুক্তি মেলেনি ১৮ দিনেও
|
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা : গত ৮ নভেম্বর পাবনার চাটমোহরের বেজপাড়া গ্রামে তিন বাঘডাশ শাবক আটক করা হয়েছে। আটকের ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও আটককৃত এ তিন বাঘডাশ শাবকের মুক্তি মেলেনি। বন্য এ প্রাণী তিনটি আটক করেন ওই গ্রামের মৃত বজলার সরদারের ছেলে আবদুস সামাদ সরদার। ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে রক্ষিত বণ্যপ্রাণীর তালিকায় তফসিল ১ অনুযায়ী প্রাণীটি সংরক্ষণের কথা বলা হলেও এ বন্য প্রাণীগুলো উন্মুক্ত করে দিতে এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়নি চাটমোহর বনকর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। বাঘডাশ ইংরেজি নাম লার্জ ইন্ডিয়ান সিভেট। এর বৈজ্ঞানিক নাম ভাইভেরা জিবেথা। এটি ভিভেরেডি পরিবারের ভিভেরাগনের একটি সবচেয়ে বড় আকারের গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণী। দেখতে ধুসর বাদামি রঙের। গেছো প্রকৃতির এ প্রাণীটির গায়ে ডোরাকাটা কালো দাগ। আবদুস সামাদ জানান, ৮ নভেম্বর তিনি তার বাড়ির অদূরে ক্ষেতে ছন কাটতে গেলে এ শাবকগুলোর সন্ধান পান। কয়েকজন মিলে শাবক তিনটিকে আটক করতে পারলেও বড় একটি বাঘডাশ পালিয়ে যায়। শাবকগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার পর কৈনূরা গ্রামের নূর ইসলাম ও বেজপাড়া গ্রামের আশরাফুলকে দুটি শাবক দিয়ে দেন। প্রশাসন ও বনবিভাগের কেউ এখন পর্যন্ত প্রাণীগুলো উন্মুক্ত করেননি। এলাকাবাসী বন্য এ প্রাণীগুলো সংরক্ষণের জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ব্যস্ততার কারণে পদক্ষেপ নিতে পারিনি। বনবিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করব। উপজেলা বনকর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস জানান, আমি প্রাণীগুলো ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। পাবনা জেলা বনকর্মকর্তা আলাউদ্দিন হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। কয়েকদিন আগে বনকর্মকর্তাকে শাবকগুলো ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। ওর মা আশপাশে থাকলে ওকে নিয়ে যেত। আর যদি না নেয় তবে সিরাজগঞ্জের ইকোপার্কে ছেড়ে দিতে বলি। এখনও কেন তিনি ব্যবস্থা নেননি তা বুঝতে পারছি না। |