শিরোনাম: |
হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার সময় মতো করা হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র
|
এম.উমর ফারুক: হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার সময় মতো করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকারি দলের ক্যাডারদের পাহারা ও নিরাপত্তা দেওয়া হলো এখন প্রশাসনের কাজ।
কিন্তু প্রশাসনকে হতে হবে জনবান্ধব। যদি তাই না হয় তাহলে খাদিজা হত্যার চেষ্টাকারীও হারিয়ে যাবে তনু, মিতু ও সাগর-রুনি হত্যাকারীদের মতো। কিন্তু আজ হারিয়ে গেলেও যখন সময় আসবে তখন আমরা সব হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার করবো। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নেই অন্ধকার, খুন-ধর্ষণ ব্যভিচার, শেখ হাসিনার কাজ ধোঁকাবাজি আর মিথ্যাচার। একদিন অবশ্যই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে সরকারকে এর মাশুল দিতে হবে। জঙ্গিরা জামিনে মুক্তি পায় কিন্তু বিএনপি কর্মীরা মুক্তি পায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজ আদালত থেকে ধরাপড়া জঙ্গিরা মুক্তি পায়, কিন্তু মুক্তি পায় না মাহমুদুর রহমান মান্না, আব্দুস সালাম পিন্টু ও রিজভীর মতো বিএনপির অগণিত নেতাকর্মীরা। তিনি আরো বলেন, দেশে কোনো ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। খুন-ধর্ষণ কিংবা হত্যার বিচার হবে না তা হবে না। অবশ্যই এর বিচার একদিন করা হবে। আর এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয় তাই কোনো হত্যার বিচার হয় না। যদি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার হতো তাহলে অবশ্যই সব হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের বিচার হতো। মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, একের পর এক রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। কোনো হত্যার আজ বিচার হচ্ছে না। যখনই যে হত্যা হয়, নিহত হয় তখনই সেই অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয় বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর। আর সেই সুযোগে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যায়। নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার অনুপ্রেরণা পায়। দেশের মানুষ সরকারের আচারণে ক্ষুদ্ধ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন সিলেটে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতা খাদিজাকে হত্যা করার চেষ্টা করল তখন কেউ এগিয়ে যায়নি। কারণ যে প্রতিবাদ করতে যাবে তাকেই হয়তো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। হয়তো তাকেই শাস্তি দেওয়া হবে। আর আড়ালে চলে যাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না, কারণ আমাদেরও মা-বোন আছে। তথাপি আজ দেশের যে অবস্থা এখানে আজ কেউ নিরাপদ নয়। এজন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে। যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, খাদিজার হত্যা চেষ্টাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বারবার সরকারি দলের নেতাকর্মীরা অপরাধ করবে আর তাদের কোনো বিচার হবে না। এটা মেনে নেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, সরকারি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কোনো অপরাধ করলে আজ প্রশাসনও কিছু করতে পারে না। আর এ অবস্থার পরিবর্তন ততোদিন সম্ভব হবে না যতোদিন না জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার হবে না। সেই সরকার কায়েমের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির নেত্রী শাম্মী আখতার, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের নেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা, রাজিয়া আলিম নিলুফা ইয়াসমিন নিলু প্রমুখ। |