শিরোনাম: |
ইসরায়েলকে বিদ্যুৎ না দিতে জর্ডানের সিদ্ধান্ত
|
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বেশ সরব জর্ডান। ফিলিস্তিনের পক্ষে তেলআবিব থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে আম্মান। অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ক্ষুব্ধ দেশটি। বিষয়টি নিশ্চিত করে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে পানির বিনিময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের আর কোনো চুক্তি করা হবে না। এই চুক্তি গত মাসে হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি আলজাজিরাকে বলেছেন, আঞ্চলিক প্রকল্প নিয়ে আমাদের একটি আঞ্চলিক সংলাপ ছিল। কিন্তু এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে এটি আর এগোবে না। তিনি বলেন, আমরা আর এই চুক্তি স্বাক্ষর করব না। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যখন ইসরায়েল গাজায় শিশু হত্যা অব্যাহত রেখেছে এমন মুহূর্তে জর্ডানের একজন মন্ত্রী একজন ইসরায়েলি মন্ত্রীর পাশে বসে পানির বিনিময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করছে। ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করে জর্ডান। চুক্তির ফলে জর্ডানের দখলকৃত ভূমির প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েল। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে পানি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের সমাধান হয়। আয়মান সাফাদি বলেন, আমরা ১৯৯৪ সালে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য বৃহত্তর আরব প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তবে সেই উদ্দেশ্য অর্জিত হয়নি। উল্টো ইসরায়েল এই চুক্তি মেনে চলেনি। তাই এই শান্তি চুক্তি আপাতত জমে থাকা ধুলো-বালিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে জর্ডানের প্রধান প্রচেষ্টা গাজায় ‘ইসরায়েল কর্তৃক প্রতিশোধমূলক বর্বরতার’ অবসান বলেও জানান আয়মান সাফাদি। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অপরাধ কোনোভাবে আত্মরক্ষা হিসেবে গণ্য হতে পারে না। দেশটি নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে এবং হাসপাতালে হামলা করছে। ইসরায়েল এখন যা করছে তার একটি অংশ যদি অন্য কোনো দেশ করত, তাহলে আমরা বিশ্বের প্রতিটি কোণা থেকে ওই দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখতাম। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গাজার ১৫ হাজারেরও বেশি জায়গায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। হামলায় ইতোমধ্যে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। |