শিরোনাম: |
সেতু নয় যেন মরণ ফাঁদ!
|
![]() নদীর দুইপাশে স্থানীয়রা জানান, একসময় বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদীপার হতো কয়েক গ্রামের মানুষ। নদীর দু’পাড়ের চিকনা মনোহর ও অলহরী-জয়দা গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা ছিল ওই বাঁশের সাঁকো। দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নদী পারাপার সহজতর করতে ২০০৪ সালের দিকে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ প্রস্থের একটি পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শেষে ২০০৬ সালে সেতুটি সর্বসাধারণের চলাচলে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। দীর্ঘসময় অতিক্রান্ত হওয়ায় তার স্থায়িত্ব কমে ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়েছে সেতুটি। শিক্ষার্থী ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় ছাত্র ইমন,সুজন, শাহীন, সোহান বলেন, আমরা প্রতিদিন রেলিং ভাঙ্গা এই সেতু দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। সেতু পাড় হতে অনেক ভয় লাগে আমাদের। দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর এই অবস্থা। আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন সেতুটি ভেঙে নতুন একটি সেতু নির্মান করা হোক। ঐ সেতু দিয়ে চলাচলকারী অটোচালক কামাল হোসেন শাহীন মিয়া বলেন, এ সেতুটি এখন মরনফাঁদ ব্রিজ অনেক দিন যাবৎ খারাপ তবুও কোন রকম জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু ব্রিজের অবস্থা খুবই করুণ। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি গাড়ি নিয়ে সেতুর নিচে পড়ে গেলাম। তবু ভয়ে ভয়ে পার হই। এখানে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যানচলাচল করে। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির রেলিংয়ের প্রায় ৫০ শতাংশই ভেঙে গেছে। ফাটল ধরেছে সেতুর দু’পাশের গাইড ওয়ালে। সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানচলাচল করছেন শিশু, বৃদ্ধ, শিক্ষার্থী, যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ, সেসাথে সেতুটি দুই ইউনিয়নের মাঝে যোগাযোগ সহজতর করেছে। কিন্তু দিনের আলোতে দেখে সেতু পারাপার হলেও রাতে পড়তে হয় বিপাকে। সেতুর দুই পাশে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে,তখন যানবাহনসহ পায়ে হেঁটে চলাচলে পড়তে হয় বেকায়দায়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি এ সেতুটি এত ঝুঁকিপূর্ণ না কিন্তু সরু । তাই নদী দুইপাড়ে জনগণের দুঃখ কষ্ট লাঘবে জন্য নতুন সেতু তৈরি করা জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। |