গাইবান্ধায় ভোট স্থগিত হওয়ায় জনগণ হতবাক
প্রমাণ হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী
Published : Thursday, 13 October, 2022 at 3:33 PM, Count : 559

বর্তমান প্রতিবেদক: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট বন্ধের ঘটনায় দেশে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই’ প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়েছে, কমিশনই সর্বেসর্বা, তাদের সিদ্ধান্তই সবার উপরে। ভোট বন্ধে প্রমাণ হয়েছে, বিএনপিসহ যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের এ কথার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচন সবসময় কমিশনের অধীনেই হয়। সরকারের সেখানে ভূমিকা কোনো নেই। সরকার শুধু ফেসিলেটরের ভূমিকা পালন করে।

ভোট বন্ধ হওয়ায় ‘জনগণ হতবাক’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সাধারণ জনগণ, সেখানকার ভোটার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টক শো দেখে মনে হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এ সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে।

এ মন্তব্যের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, কারণ নির্বাচনী এলাকার কোথাও কোনো ধরনের গন্ডগোল হয়নি। কোনো অভিযোগ নেই। কোনো পোলিং বা প্রিজাইডিং অফিসারেরও কোনো অভিযোগ ছিল না। বিন্দুমাত্র সহিংসতাও হয়নি। নির্বাচন কমিশন ৫০০ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এখন ইসির সেই সিসি ক্যামেরার রেজ্যুলেশন, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি কেমন ছিলো সেটি একটি বড় প্রশ্ন। গাইবান্ধার দুর্গম অজপাড়াগাঁয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা কতটুকু রেজুলেশন দিলো...‘দ্যাটস অ্যা বিগ কোশ্চেন’।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার কাছে প্রিজাইডিং অফিসারের লিখিত রিপোর্ট আছে। ৯৮টি কেন্দ্রের যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে কোনো গন্ডগোল হয়নি এবং রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোট বন্ধ করেছে। এ সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এটা আমি বলছি না, জনগণ ও বোদ্ধাজনেরা বলছেন। ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের দলীয় প্রার্থী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলে বলেন, আমাদের প্রার্থী যেটা বলেছে বিতর্কিত ৫৩ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হতে পারতো। বাকিগুলো কেন বাতিল হলো? তার এ প্রশ্ন কি অযৌক্তিক?

সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। সেই শূন্য আসনে গতকাল বুধবার উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগে একে একে ৫১ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করার পর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ওইদিন দুপুরে ভোট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভোটে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানান সিইসি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft